About Me

I am like a pebble lying beside the road for ages. I observe and think. Sometimes I want things to be changed. But I am not an active person at all. So I just lie down and watch the play taking place around me. Somehow I enjoy the solitude I live in. I am happy with the package I came with. This beautiful earth, sunshine and rain…

Sunday, August 1, 2010

Some things are better left unsaid

আমার মাঝে মাঝেই আঁতেল হওয়ার শখ জাগে। তখন আমি বিদেশী সিনেমা দেখি, ইংরিজিতে উপনিষদ পড়ি, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে ভুল ভাল জায়গায় মাথা নাড়াই – এই সব আর কি! তা আজ রবিবার। ইংলিশ মাফিন আর কালো কফি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মনটা ভারী সাহেব সাহেব হয়ে গেল। ভাবলাম আজ সারাদিন ধরে নেটফ্লিক্সে মুভি দেখি। যা তা মুভি হলে চলবে না। আঁতেল হতে হবে। কাল রাতের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শ্রবণের কন্টিনিউয়েশন আর কি! দেখে শুনে বেছে নিলাম ১৯৬৭ সালের একটি ইটালিয়ান মুভি – পাওলো পাসোলিনির অয়দিপাউস। অর্থাৎ শুধু আঁতেলই নয়, অ্যান্টিকও বটে!

প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো সিনেমাটি আমার পছন্দ হয় নি। আমি ভেবেছিলাম সফোক্লিসের নাটকটির একটি আধুনিক চিত্রায়ন দেখবো। গল্পের শুরুও তেমনই ছিল – ষাটের দশকের ইতালী – একটি শিশু, শিশুর মা, তার কামুক স্বামী – যে শিশুর প্রতি তার নারীর মনোযোগ দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আর ঠিক তখনই পটভূমি বদলে যায়। গল্প চলে যায় আড়াই হাজার বছর আগের গ্রীসে – থিবস নগরীতে। তারপর ঠিক তেমনটিই হয়, যেমনটি গল্পে আছে। ভয়, দয়া, বাৎসল্য, ভাগ্যানুসন্ধান, হত্যা, কাম, বিপন্নতা, গ্লানি ও সবশেষে অন্ধত্ব। অন্ধত্বের পর গল্প আবার ফিরে আসে ইতালীতে। একটি অন্ধ মানুষ রাস্তায় রাস্তায় বাঁশী বাজিয়ে ফেরে। মাঝে মাঝেই অস্থির হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে। তাকে ফ্রেমে ধরেই শেষ হয় এক ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের সিনেমাটি। খুবই নাটকীয় সিনেমা। অভিনয় দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল স্টেজ অ্যাক্টিং দেখছি। সেটা ভালো না লাগার একটা কারন। সংলাপ অত্যন্ত কম। ছবির প্রথম সংলাপটি আসে ছবি শুরুর ছ’মিনিট সতেরো সেকেণ্ড পরে। সেটাও কোন চরিত্রের মুখের সাধারণ সংলাপ নয়। শিশুটিকে দেখে পুরুষটির ঈর্ষা – যেন যাত্রাদলের বিবেক! নাটকে দেখতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সিনেমাতে অন্যরকম হতেই পারতো। আর শেষ কথা হল – ছবির প্রথম ও শেষ দশ মিনিটে কেন ষাট দশকের ইটালীর অবতারনা হল তা আমি বুঝলাম না। পরিচালক কি এটাই বোঝাতে চাইলেন যে অয়দিপাউসের গল্প আড়াই হাজার বছর আগেই শেষ হয়ে যায় নি, এখনও চলছে! ষাট দশকের ইতালী না দেখালেও সেটা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।

Some things are better left unsaid
Some strings are better left undone
Some hearts are better left unbroken
Some lives are better left untouched
Some lies are better off believed
Some words are better left unspoken

কি আসে যায় অয়দিপাউস আর জোকাস্টার, যদি তারা না জানে তারা কে! কি অসুবিধা তাদের স্বাভাবিক নারী-পুরুষের মত জীবন কাটাতে! কেউ তো বাধা দেয় নি তাদের! কেউ তো অনাহূত এসে ধাক্কা দিয়ে তাদের ঘুম ভাঙায় নি। ভবিষ্যত-দ্রষ্টা নীরব থাকতে চেয়েছে। মেষপালক স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেছে। রাজ্য ছিল, অনুরক্ত নারী ছিল, শিশু ছিল। তবু তার বিপন্নতা ঘুচলো না। আর কাউকে তো লাগে না – মাথার মধ্যে কিলবিল করে যে বোধটা – সে ভেংচি কাটে। বিরক্ত করে, অনুনয় করে, পায়ে মাথা খুঁড়ে মরে – বলো, বলো, আমাকে বলো! সে জেনে এসেছে ছোট থেকে – ফলটিতে কামড় বসালেই টুপ করে ঝরে যেতে হয় স্বর্গ থেকে। তবু তার মারাত্মক লোভ। জানতে তাকে হবেই। তারপর সত্যের ঝাঁঝ সামলাতে না পেরে নিজেকে সরিয়ে নিই জীবন থেকে কিংবা অন্ধ হই – সেও ভালো। যেন জীবনের জন্য সত্য নয়, সত্যের জন্য জীবন! কথাটা যতটা নায়কোচিত শোনায় আদতে তা’ও নয়। কোন মহৎ সত্যনিষ্ঠা থেকে এই প্রশ্নের উৎপত্তি নয়। এ নিজের সাথে নিজের খেলা। পোকা যেমন আগুনের দিকে ছোটে। ডানা পোড়ে আর সে তাকে জীবনের উষ্ণতা ভেবে চোখ ঠারে। তারপর তীব্র ঝলক, অন্ধত্ব। সবশেষে ছেঁড়া জামা পরে বাঁশী বাজানো রাস্তায় রাস্তায় এবং অস্থির আক্রোশে উন্মাদের মত চিৎকার। আমি হাফ আঁতেল এসব নিয়ে ব্লগ লিখি আর ভাবি বিপন্নতা কোন ওষুধে সারে!

3 comments:

  1. lekhata besh valo sandeho nei...tabe sabcheye perfect laglo akkebare shesher lineta

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. kichu kotha ache dekhbe jara meaning tar flavour ta 200 hundred percent carry kore.
    biponnota erokom ekta wrod. word tar suru theke sesh porjonto ekta bhoy, ekta astitohinotar chaya ! so helpless !

    ReplyDelete