আমি খুব লেট লার্নার। বাঙালী হবু আঁতেলরা যা সতেরো থেকে একুশের মধ্যে করে ফেলে আমি তা তিরিশে করি। আমি এখন কুরোসাওয়ার ‘ড্রিমস’ ছবিটি দেখছি। এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু আমাকে এখনই লিখতে হল। কারন পাঁচ নম্বর ছবিটা – ‘দ্য ক্রো’স’ নিয়ে আমি ব্লগ লিখেছিলাম এপ্রিল মাসে। তখন অবশ্য জানতাম না ভ্যান ঘঘের এই ছবিটা – ‘Wheatfield with Crows’ নিয়ে কুরোসাওয়াও ছবি করেছেন। আগেই বলেছি – আমি নেহাতই মূর্খ। আমি ছবিটা প্রথম দেখি ইন্টারনেটে। আসলটা আছে অ্যামস্টারডামে। লোকে ভাবতে ভালোবাসে এই ছবিটা আঁকার পরই ভ্যান ঘঘ আত্মহত্যা করেন, যদিও সেটা সত্যি নয়।
ছবিটা এমন ভাবে ডাকত... শেষ পর্যন্ত একটা প্রিন্ট কিনে এনে নিজের ঘরের দেওয়ালেই লাগিয়ে দিলাম। কতবার এই ছবির দিকে সম্মোহিতের মত তাকিয়ে থেকেছি! আজ জানলাম কুরোসাওয়ার স্বপ্নেও আসত এই ছবি। একটি লোক গ্যালারীতে বসে ছিল। তারপর সে ছবির মধ্যে ঢুকে গেল। যে ছবিটা দিয়ে ঢুকল সেটা আমার চেনা নয় – একটি ব্রিজের নিচে কিছু মেয়ে কাপড় কাচছে – পরে নাম খুঁজে পেলে লিখে দেব। ছবির রাস্তায় লোকটা ভ্যান ঘঘকে দেখতে পায়। কিন্তু সেই পাগলের সাথে পাল্লা দিয়ে পথ চলা কি সাধারণ মানুষের কাজ! যথারীতি হারিয়ে ফেলে তাকে। তারপর এ ছবি, ও ছবি – অনেক ছবি ঘুরে সে আসে এই পাগলাটে হলুদ গমক্ষেতে। ভিনসেন্ট সেখানে হনহন করে হেঁটে যাচ্ছেন দিগন্তের দিকে। তারপরই চারদিক থেকে অসংখ্য কাক এসে সব কিছু ঢেকে দিতে থাকে। আমি কখনও বুঝতে পারি না কাকগুলো কোন দিকে আসছে – আমার দিকে, নাকি ভিনসেন্ট যেদিকে গেলেন সেই দিকে! এবারেও বুঝতে পারলাম না। বারবার দেখলাম। ঘুরিয়ে, ফিরিয়ে, স্ক্রিন ফ্রিজ করে। কিন্তু কাকগুলো কেন এসেছে, কি চায়, কোনদিকে উড়ছে তা এবারেও বুঝতে পারলাম না! অথচ জানি, আমি আবারও তাকিয়ে থাকব ছবিটার দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা। কাকেরা কোথায় যেতে চায় না জানা পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।
খন্ডিতাদের যাপিত জীবন
2 years ago
kakera ar kothay jabe, kaka ke khunjte jaay. :P
ReplyDeletenotun lekhata besh bhalo hoechhe, onekta porashuno korechhis mone hochhe :)
ReplyDeleteআরো স্বপ্ন দেখুন....
ReplyDelete