S-এর সিঁড়ি আর বিকেলের গল্পে K খুব আপ্লুত হয়ে পড়েন। ছেলেমানুষ কিনা! সেদিন গল্প শেষে S-কে তিনি একখণ্ড কবিতা লিখে পাঠান। S আবেগপ্রবণ মানুষ। এমন হঠাৎ খুশীর ভার বইতে তিনি কোনদিনই বিশেষ পটু নন। যদিও K-এর সামনে তাঁর কাব্যপ্রতিভা সাঁঝবাতির পাশে হ্যালোজেনের মতই দৃষ্টিকটু ও উচ্চকিত, তবু আবেগের বশে তিনিও লিখে ফেলেন দু’লাইন। K কিনা জাত কবি। S-এর মনের কথা তাঁর নিজের থেকেও নিপুণ ভাবে প্রকাশ করার সহজাত ক্ষমতা K-এর। তাই আরো ক’লাইন যোগ করে তিনি কবিতাটি সম্পূর্ণ করেন। সেটি কেমন হলো? দেখে নেওয়া যাক –
K: বিকেল, তোকে এই সিঁড়িতে রাখি
এইখানে হোক গল্প গল্প খেলা
বাসায় যখন ফিরবে দোয়েল পাখি
ডানায় মেখে অল্প অল্প বেলা
S: বিকেল, আমার রূপকথা সন্ধান
বৃষ্টিশেষের হলুদ আলোয় ঘেরা
সিঁড়ির বাঁকে থমকে গেছে দিন
তোরই কাছে গল্প শেষে ফেরা
K: যখন আমায় খোলা আকাশ ডাকে
জানলা বেয়ে ডাকে গাছের সারি
রূপকথারা চুপটি করেই থাকে
তাদের সাড়া না দিয়ে কি পারি?
K: বিকেল, আমার নেই তো ওঠানামা
সিঁড়ির কাছে, অনেক কাজের ঝোঁকে
আমার শুধু একটুখানি থামা
একটুখানি জড়িয়ে নেওয়া তোকে
S je keno K- ke kobi bhaben ta tini-i janen. Jini dekhan chhobi, tini-i holen kobi. K nimitto matro.
ReplyDeletejini dekhen chhobi, tini-i asol kobi :)
ReplyDeleteএইটে আমার ভারী পছন্দ হল৷
ReplyDelete