একটা থাই রেস্তোরাঁ থেকে বেরোচ্ছি – দেখি সদর দরজার পাশেই ক’টা বেলফুলের গাছ। এদিক-ওদিক তাকিয়ে গাছের দিকে নিচু হলাম। একটুও বদলায় নি তো! একদম একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে আমার ছোটোবেলা! গ্রীষ্মকালের লোডশেডিং-এর সন্ধ্যে। আমি আর ভাই ল্যাম্পের আলোয় অঙ্ক কষছি। বাবা ইজিচেয়ারে শুয়ে তারা দেখছে। মা গুনগুন করছে – যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার মল্লিকাবনে... সুর লাগছে না। তবু যা গাইছে সেটাই যেন সুর হয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের দেড়তলার ছাদ থেকে ম ম করে ভেসে আসছে বেলফুলের গন্ধ!
টবের নিচে কিছু বেলফুল ঝরে ছিল। সেগুলো কুড়িয়ে নিলাম। বার বার ঘ্রাণ নিচ্ছি – আর ম্যাজিকের মত, আলিবাবার গুহার মত, প্রফেসর শঙ্কুর বোগদাদের বাক্সের মত আমার সামনে পর্দার পর পর্দা খুলে যাচ্ছে – একের পর এক প্রিয় মুখের সারি, প্রিয় দৃশ্যের অভিনয় – আমাদের গঙ্গাতীরের নরম হলুদ আলোর ফিল্টারে পরিশ্রুত! ব্লুমিংটনের বিকেলে তখন চাপ চাপ কালো মেঘের ফাঁকে কমলা সূর্যের ঝলক। হয়তো একটু পরেই বৃষ্টি নামবে। পৃথিবীকে এতো সুন্দরও হতে হয়! শিউরে উঠি!
খন্ডিতাদের যাপিত জীবন
2 years ago
কি আশ্চর্য্য... ছোটবেলায় যখন আমি হারিকেন এর আলোয় অঙ্কের খাতার দিকে তাকিয়ে হাঁ করে বসে থাকতাম, তখন আমার মা ও কিছুটা বেসুরো গলায় এই গান টাই গুনগুন করত - "যখন প্রথম ফুটেছে কলি আমার মল্লিকাবনে..." ! গান টা আমার মায়ের মুখেই প্রথম শোনা...
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল ... সকলের ছেলেবেলা বোধহয় একই রকম।
ReplyDelete