অভ্যেস একটা রঙচঙে নাদুশনুদুশ গা-এলানো খোলস। তার মধ্যে শুয়ে থাকি গুটিসুটি। বাইরে বয়ে যায় শীতকাল।
পাতা ঝরেছিল বুঝি? জানি না তো! আমি তো দেখেছি শুধু উজ্জ্বল রূপোলী রোদ। সংক্রান্তির মেলা। ওলাবিবিতলায় মাটির পুতুল কেমন সারি সারি। বটের ঝুরির ফাঁক দিয়ে আলো এসে পড়ে ফেলে যাওয়া কার্তিক ঠাকুরের মুখে। ঘাটের সিঁড়িতে অশথ পাতা ছড়িয়ে আছে জালিদার। চুড়িওয়ালা চুড়ি পরাচ্ছে কচি সবুজ হাতে। দেখেছি শীতের দুপুরে মাদুর পেতে কমলা-বিলাস। সেজ ঠাকুমা সাবধানে ফোঁড় তোলে নকশীকাঁথায়। ইঁটভাঁটির মরা আঁচে আলু পুড়িয়ে খেয়েছি দল বেঁধে। সেই সব ভরন্ত দিন। রোদ্দুরের হাট। এমনই তো বলতে তুমি? নিকোনো মাটির বুকে খড়ের ঘ্রাণমাখা বিকেলে।
খোলসকে ছাড়ি নাকি খোলসই ছেড়ে যায়! অঞ্জলী বেয়ে টুপটাপ ঝরে পড়ে জলের মত। কাঁচা চামড়ায় বাতাসের দাগ – কেমন শিরশিরে! লালচে আকাশ। লাল চোখের মণি। গাঙুরের মজা স্রোত তবু সর্বনাশী। দুলেদের ঘরে চোরা খুনসুটি। টিনের চালের নিচে ধোঁয়াওঠা আমিষ দুপুর। গেরস্তর বৌ নিজের হাতে সাজিয়েছে দুধ-কলা। চেটেপুটে খাই পরিপাটি। ধুলো মাখি সারা গায়ে। মাটির খুব জোর। রোদের তাত এসে মেশে। জমে বৃষ্টির জল। পৃথিবীর সব স্বাদ মাটিতেই আছে। তারপর হেলেদুলে চলি আঁকেবাঁকে – যেমনটি ছোটনদী। কোন পাড়ায় নবান্নের ধান রুইছে – খুঁজতে যাই। নতুন চালের গন্ধ আজও শিশিরের মতই অপরূপ।
খন্ডিতাদের যাপিত জীবন
2 years ago
vitorta kamn nore galo re....khuuu..b valo hoyechhe,akebare antar theke jano uthe esechhe...
ReplyDeletejothariti .. ekonistho pathok hisabe abaro khub bhalo ekta lekha upohar pelam..
ReplyDeleteObak hoye gelam Sorisrip porhe! Photographer bolei ki erokom adbhut sob angle theke dekhte paro ar ankte paro? unhu, tao noy, bodhoy kobi bole
ReplyDeleteপ্রথম লাইন টা তেই বাজিমাত ! উতপল দত্তের ভাষায় "লাখ রুপয়ে কী বাত" :-)
ReplyDelete