[এই ছবিটি প্রিয়তম ছবিগুলির মধ্যে পড়বে না। তবে একটি অর্কুট কমিউনিটিতে ছবির গল্প লিখতে গিয়ে এই ছবিটিকে বেশ ভালোবেসেই ফেললাম।]
এই ছবিটা দেখলেই মনে হয় মেয়েটা যেন কারোর জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু সে কবে আসবে বা আদৌ আসবে কিনা তা মেয়েটির জানা নেই। অনেকদিন আগে মেয়েটা তাকে দেখেছিল। সে হয়তো লক্ষ্যও করে নি মেয়েটিকে। কি ভাবেই বা করবে। মেয়েটার না আছে তেমন চোখে পড়ার মত চেহারা। না পারে সে ভালো করে কথা বলতে। সত্যি বলতে কি কোন কাজই তেমন গুছিয়ে করার ক্ষমতা মেয়েটির নেই। রোজ সকালে উঠেই যে তার মনে হয় - আজ হয়তো সে আসবে - অনেকদিন আগে শোনা একটা গলার আওয়াজ মনে পড়লেই বুক ছলাত করে ওঠে - এই সোজা কথাটাই কি সে স্বীকার করতে পারে কারোর কাছে! মুক্তোর দুলটা ওর মায়ের। ওর একমাত্র দামী জিনিস। এককালে সে রোজ যেত এই পথ দিয়ে। একটা কালো টয়োটা করোলাতে। রকির কোলঘেঁষা এই একহারা শহরের ঘুপচি কফিশপে এককাপ কফি খেত। এদিকেই কোথায় যেন ছিল তার ইউনিভার্সিটি। তারপর বহুদিন কেটে গেছে সে আর আসে না। মেয়েটা জানে তার কাজ ফুরিয়েছে, সে আর আসবে না। তবু ভোরের আলো জানলার বাইরের ম্যাপল পাতাগুলো ছোঁয়া মাত্র তার মন বদলে যায়। কত কিছুই তো অসম্ভব ঘটে জগতে। হতেও তো পারে আজ তেমনই এক অসম্ভব দিন। 'আসবে/আসবে না' 'আসবে/আসবে না' - বুকের ভেতর লাবডুব চলতে থাকে - সে কাঁপাকাঁপা হাতে পরে নেয় তার মুক্তোর দুল। কফিশপের ঝাঁপ তোলে। বেলা গড়ায়। কাউন্টারে রাখা ডার্ক রোস্টেড কলাম্বিয়ানটা ফুরিয়ে আসে। মেয়েটি অভ্যস্ত হাতে গ্রাইন্ড করতে থাকে সুগন্ধী কফিবিন। একটা কালো গাড়ী এসে দাঁড়ালো বোধহয়। সে চকিতে মুখ ফেরায়। কানের মুক্তোটা ঝিলিক দিয়ে ওঠে...
No comments:
Post a Comment