[একটা অর্কুট কমিউনিটিতে লেখা কিছু এলোমেলো ভাবনার কোলাজ]
‘তুমি পুষে রাখো পাঁজরাতে চোরা মফস্বল’
শহর নয়। লিখবো এক গ্রামের কথা। একটা অথবা অনেকগুলো গ্রাম। সেই সব গ্রামগুলি – যারা মাঝে মাঝে এসে ভীড় জমায় দিনের শেষে ঘুম না আসা চোখে – আমার ছেঁড়াখোঁড়া স্বপ্নে। অফিস ফেরতা যানজটের ভিড়ে যখন লাল সূর্যটাকে ঘুমিয়ে পড়তে দেখি – আমার আজকের দিগন্ত মিশে যেতে চায় সেই সব ফেলে আসা দিগন্তে। সেই সব পুরোনো বিকেল – আজ তারা এতো দূরে – ভালো বুঝতে পারি না তারা স্বপ্ন ছিল নাকি সত্যি।
আমাদের গঙ্গার কোল ঘেঁসা ছোট্ট মফস্বল শহর – হাওড়া থেকে আসা সবুজ ট্রেন বুড়ি ছুঁয়েই আবার ছুটে যেত পরের গন্তব্যে। কেউ চেনে না, কেউ জানে না। স্টেশন চত্তরের কিছু ছোট ছোট দোকান। সরু গলি। পানা ঢাকা নিথর পুকুর। পুকুরধারের পলেস্তারা খসে যাওয়া ইঁট বেরিয়ে পড়া বাড়ির সারি। ‘কোথায় থাকো’ – এই প্রশ্নের উত্তরে চিরকাল তো বলে এসেছি ‘বৈদ্যবাটি’ – তারপর প্রশ্নকর্তার দিশাহারা দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে – ‘ওই যে শ্রীরামপুর! তার পরের পরের স্টেশন। আর কটা স্টেশন পেরোলেই চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজো হয় – বুঝলেন না? সেই যে বিখ্যাত আলোর কাজ!’
‘ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি, ক্ষিধের থেকেও স্পষ্ট’
সেই সব দিনগুলো কেমন সব রঙীন আলো দিয়ে ঘেরা থাকতো। কাকডাকা ভোরের নীলচে আলো। পুব আকাশে হীরের নাকছাবির মত জ্বলজ্বলে শুকতারা। এখনো মাঝে মাঝে খুব ভোরে ঘুম ভাঙলে জানলার ব্লাইণ্ডের ফাঁকে তাকে লুকোচুরি খেলতে দেখে সে। রাস্তা দিয়ে হুসহাস গাড়ি চলে যায়। সে কমফর্টারটা জড়িয়ে দু-মিনিট চেয়ে থাকে। নতুন দেশ, নতুন রাস্তা আর আকাশের গায়ে ক্রমশ মিলিয়ে যেতে থাকা তার চিরকালের সাথী। বাংলাদেশের ভোরের গন্ধ নাকে এসে লাগে। বাগানভরা ফুল – জবা, কলকে, টগর, দোপাটি, নয়নতারা। ‘-‘কাকীমা তাদের বাগান থেকে ফুল নেয় তা জানে পাড়াসুদ্ধ লোকে। তবুও সে চোরের মত আসবেই – ঘাপটি মেরে। গাছ ঝাঁকিয়ে, আঁকশি বাড়িয়ে নানা কসরতে চলতে থাকবে তার প্রভাতী রোমাঞ্চ। ওদিকে জেগে উঠতে থাকবে পাড়া। সন্ধ্যাপিসি সদর দরজার সামনে একবালতি জল ঢেলে নারকোলের ঝাঁটা হাতে রাস্তা পরিস্কারে লেগে যাবে। মুখভরা কোলগেটের ফেনা নিয়ে তার সাথে বকবক করবে কালু কাকা। চক্রবর্তীদের বাড়ি চালিয়ে দেওয়া হবে আকাশবানী কলকাতা। সুজলাং সুফলাং শস্যশ্যামলাং বাংলা বিন্দু বিন্দু ছড়িয়ে পড়তে থাকবে মজ্জায় মজ্জায়। বহুদিন পর বহুদূর দেশের কোন এক সকালে কেউ একজন ভাববে – সবই তো সেই আগের মতই – সেই শুকতারা – সেই কমলা সূর্য – সেই ঘাসের গোড়ায় জমে থাকা শিশির – বাগান আলো করে ফুটে থাকা টিউলিপ, ড্যাফোডিল – আছে তো সবই। তবু কি যেন নেই! কি যেন নেই!!
‘আমার চোখ বেঁধে দাও আলো, দাও শান্ত শীতলপাটি’
ভোরের রঙ যদি নীল হয়, দুপুর তবে সবুজ। শ্যাওলা সবুজ। গরমের ছুটির ঝিম ধরা দুপুরে সারা পাড়া শুনশান। অনেকক্ষন আগে টহল দিয়ে যাওয়া ফেরিওলার হাঁক – ‘ইয়ে-য়ে-য়ে লোহা-(ভা)আআঙাআ (বো)ওতল-(ভা)আআঙাআ (বি)ইক্রি-ই-ই-ই-ই’ রোদজ্বলা রাস্তায় পাক খেতে খেতে মিশে গেছে। পোষা নেড়ীটাও তার সন্তানসহ খানিক ঝিমিয়ে নিচ্ছে পাঁচিলের পাশের এক চিলতে ছায়ায়। ঘুম নেই শুধু একজনের। কাঁঠাল গাছের বড় পাতাটার নিচে বসে সে ক্লান্তিহীন উত্থানপতনহীন অদৃষ্টবাদী সুরে ডেকে চলে। যেন জগতে কারো কোন কাজ নেই আর। যেন পূর্বজন্মের, তার আগের জন্মের, আরো আরো সব জন্মের সব কথা তার মনে পড়ে গেছে। যেন এই এলোমেলো পথ চলা, জীবনের পর জীবন বেয়ে চলা - সব তার বোঝা হয়ে গেছে। তাই সে ডেকেই যাচ্ছে। চক্রাকারে। অবিশ্রান্ত। সেদিন সে ডাক যে শুনলো তার জীবনের প্রতিটি অনাগত দুপুরের নিঃশর্ত মালিকানা কিনে নিল ওই বিরামহীন ঘুঘুডাক। কাঁঠালপাতার আলোছায়া ছেড়ে সে ডাক গিয়ে মিশলো চ্যাটার্জীপাড়ার স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তায় – বুড়ো শিবতলার ফাটলধরা চাতালে – কুমোরপল্লীর কাঁচা মাটির ভাঁড়গুলোতে একবার পাক খেয়ে নিয়েই সে ছুটে গেল খালপাড়ের বাঁশঝাড়ে। সেখানে তখন বৃষ্টি নেমেছে। নারকেল আর সুপারী গাছগুলো তাদের কোমরছাপা চুলের ভারে আলুথালু। কৃষ্ণদা নীল প্লাস্টিকের ঝাঁপটা ফেলে দিয়েই জোরে প্যাডেল চাপে স্টেশন রোড ধরে। বড় বড় জলের ফোঁটা খালের সবুজ জলে নুপুরের মত নাচতে নাচতে এগিয়ে যায়। ক্লাসঘরে তখন সুপ্রিয়াদি কুবলাই খাঁর রাজ্যবিস্তার বর্ণনা করছেন। দমকা পুবে হাওয়ার সাথে এক ঝলক ছাতিম ফুলের গন্ধ এসে কুবলাই খাঁর ঘোড়ার রাশ টেনে ধরে।
‘বসন্ত বিকালখানি মেঘে রোদে অভিমানী’
দুপুরশেষের আলো ভেন্টিলেটরের ফাঁক দিয়ে দেয়ালের গায়ে নকশা আঁকতো। ওদিকে কেরোসিনের স্টোভে তখন চা বসেছে। বিকেল মানেই চা আর কেরোসিন মেশানো এক কস্তুরী গন্ধ। কোলাপসিবল গেট লাগানো এক চিলতে সিঁড়িতে বসে বউ-ঝিদের গল্প। ধুলোমাখা পায়ে ফুটবলে লাথি। দমভরা কবাডি। অথবা উত্তাল কুমীরডাঙা। আর যে মেয়েটা কিছুই পারে না – যে কিনা একেবারেই এলেবেলে – তার জন্য আছে লুচিপাতার রুটি, ধুলোবালির আলুরদম আর স্টোন চিপসের ফিশফ্রাই দিয়ে ভরাট সংসার। সাদা আর গোলাপী কৃষ্ণকলি ফুল দিয়ে বিনি সুতোর মালাগাঁথা। শনি-রবিবার যাওয়া যায় লাইব্রেরী। ছোটদের সেকশন থেকে নিয়ে আসা যায় আনন্দমেলা, কিশোরভারতী, শুকতারা। জোজো-সন্তু, ট্যাঁপা-মদনা, বড়মামা-মেজোমামা দুই ভাই, আক্কুশ নামের ছোট্ট ভুতটা – অনেক অনেক বন্ধু তখন। দেবসাহিত্য কুটিরের অনুবাদগুলো – লা মিজারেবল, কর্সিকান ব্রাদার্স, লাস্ট ডেজ অফ পম্পেই, টেল অফ টু সিটিজ – আরেকটু বড় হয়ে পড়া রেবেকা – সবার সাথেই জড়িয়ে আছে মরে আসা রোদের গন্ধ আর বাড়ির পাশে বেছানো রেললাইনের ঝমঝম শব্দ। দেড়তলার ছাদে বসে প্রথম আরন্যক পড়া। মেটে সিঁদুর রঙের সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে রেললাইনের ওপারে – নারকেল গাছের ফাঁকে। এরপরে সে যতবার আরন্যক পড়েছে লবটুলিয়া বইহারের জঙ্গল এসে মিশেছে তাদের মফস্বল শহরের রেললাইনে, মিটিমিটি জ্বলে ওঠা ল্যাম্পপোস্টের বিষন্ন আলোয়, সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের সন্ধ্যারতিতে। আর তারও বহু বহু দিন পর – যখন তার আরো অনেক অনেক শহর ঘোরা হয়ে গেছে – যখন তার কাছে এ সবই পূর্বজন্মের স্মৃতির মত ধোঁয়ায় ঢাকা লাগে – তখন সে একদিন দেখে তার জীবনের সব বিকেল এসে মিলেছে একটি বিকেলে – আইআইটি ক্যাম্পাসের বেগুনী ফুল বিছিয়ে আছে অ্যান আরবরের ঝরাপাতায়, কমলানগর মার্কেটের চাটের গন্ধে মাখামাখি হয়েছে ব্যাটলক্রীকের মনখারাপী রাস্তা, কালামাজুর গাঢ়যৌবনা হেমন্ত আবির ছড়িয়েছে সেন্টলুইসের সেন্ট্রাল পার্কে – আর এক আশ্চর্য হলুদ আলো আকাশ ধুয়ে, বাতাস ধুয়ে, শরীর ধুয়ে আচ্ছন্ন করছে তার সমস্ত চেতনাকে। তাদের গঙ্গাতীরের ইঁটভাঁটি থেকে ভেসে আসা সেই জাদুকরী আলো খেলে বেড়ায় তার বরফঢাকা পার্কিংলটে। সে খুব খুশী হয়ে ওঠে অকারনেই। আপনমনেই জোরে জোরে আবৃত্তি করতে থাকে ‘আমাদের এই গাঁয়ের নামটি অঞ্জনা, আমাদের এই নদীর নামটি খঞ্জনা, আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচজনে, আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা’ – রঞ্জন বা রঞ্জনা – কারোর তোয়াক্কা না করেই!
‘তুমি লোডশেডিং-এ চাঁদের আলোর স্বর’
মফস্বল শহরে সন্ধ্যা নামে কুন্ঠিত ভীরু পায়ে। রাস্তার হলুদ বাতি আলোর চেয়ে অন্ধকার ছড়ায় বেশি। পোদ্দারঘাটের বৈষ্ণবমঠ থেকে মৃদু কীর্তনের সুর ভেসে আসে। স্টেশনারী দোকানগুলো ধূপের ধোঁয়ায় আবছা ভুতের মত দেখায়। গেরস্তবাড়ীর শাঁখের আওয়াজ লাফিয়ে বেড়ায় এক ছাদ থেকে অপর ছাদে। তারই মাঝে চলে কিশোরী মেয়ের গলা সাধা। রান্নাঘরে তখন গরম রুটির গন্ধ। আর প্রতিটা সবুজ ট্রেনে ঘরে ফেরার সুর।
দুই ভাইবোন মায়ের সতর্ক প্রহরায় পড়তে বসতো। কোলগেটের সুরক্ষা বলয়ের মত ওদের ঘিরে থাকতো কচ্ছপ ধূপের কড়া গন্ধ। জ্যামিতির এক্সট্রাগুলো শেষ করে সবেমাত্র ত্রিকোনমিতি ছুঁয়েছে সে - লোডশেডিং হয় ঝুপ করে। বাবা ল্যাম্প জ্বালাতে যান। সে দৌড়ে এসে বসে তাদের বক্স জানলাটিতে। একফালি সেই জানলা তখন নারকোল পাতার ফাঁক দিয়ে চুঁইয়ে পড়া চাঁদের আলোয় মাখামাখি। অপ্রত্যাশিত এই প্রাপ্তিতে সে বড় বিভোর হয়ে যায়। মায়ের বকুনিকে পাত্তা না দিয়ে মহানন্দে চাঁদের আলোয় অঙ্ক কষতে থাকে আর ভাবে – ইসস যদি একটা ইউক্যালিপটাস গাছ থাকতো এখানে! তাহলেই তো জায়গাটা শিমুলতলা হয়ে যেত। সেখানে কেমন সন্ধ্যে হলেই ইউক্যালিপটাস গাছে থোকাথোকা জোনাকি ভীড় করে আসে। আকাশের তারাগুলোও মিটমিট করে জোনাকির মতই। সেই জ্যোৎস্নার আলোয় ছোটোনাগপুরের এবড়োখেবড়ো পাথুরে রাস্তা বেয়ে তারা চারজনে ঘরে ফিরেছে কতবার। বিহারীবাবুদের বাগান থেকে ভেসে আসতো কোন এক রাতপোকার ঝুম ঝুম আওয়াজ।
পনেরো বছর পর – পৃথিবীর উল্টো পিঠে সে যখন স্কুল থেকে বাড়ী ফিরতো হেঁটে হেঁটে – স্টেডিয়ামের পাশে শুনশান রাস্তায় অন্ধকার জমাট বেঁধে থাকতো – স্মৃতির কোন তলানিতে পড়ে থাকা সেই ঝুম ঝুম আওয়াজ তার পথ চলার সঙ্গী হত। অথবা সে যখন প্রথম একা থাকতে শিখছে – সেই সব দিনগুলোতে – তার ব্যাটলক্রীকের বাসায় কোন কোন গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় সে তার একচিলতে অ্যাপার্টমেন্টের সিঁড়িতে এসে বসতো। নতুন শহর, ছোট্ট শহর, একহারা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের কোনায় কোনায় ঝুপসি অন্ধকার। তার ভয় করতো খুব। ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করতে গিয়ে সে দেখতে পেত আকাশ ভরে চাঁদ উঠেছে। ভুসভুসে মেঘের মধ্যে থেকে উঠে আসা গরদ রঙের সেই চাঁদ দু’হাত ভরে নিয়ে এসেছে তার কিশোরীবেলার সন্ধ্যে – বেলফুলের গন্ধ ভরা তাদের দেড়তলার ছাদ – টেবিলল্যাম্পের আলোয় বাবা-মা হায়ার সেকেন্ডারীর খাতা দেখছে – ভাই-এর মুখ গোঁজা কিশোরভারতীতে – আর তার তখন প্রথম রবীন্দ্রনাথে হাতেখড়ি। বহুযুগের ওপার থেকে ভেসে আসা এই ভয়ভাঙানীয়া গন্ধকে আকন্ঠ পান করে সে। বহুদিন যার খোঁজ করে নি, যেসব দিন সে ভুলেই ছিল - এই নিঝুম সন্ধ্যায় সেই অনাহুতকে আঁকড়ে ধরে সে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে।
‘তাকে যেই কাছে পাই খুব – পাছে যাই ভেসে, দিই অন্য হাওয়ায় ডুব’
প্রেম আসলে কোন সম্পর্কের নাম নয় – প্রেম কিছু মূহুর্তের সমষ্টি মাত্র। কিন্তু প্রেম বড় ভয়ংকরী। সুযোগ পেলেই আঠালো লালায় আষ্টেপৃষ্ঠে গ্রাস করে নিতে চায় তার শিকারকে। প্রেম বড় মায়াবী। বার বার অনাদর সয়েও ঘরের চৌকাঠ ধরে দাঁড়িয়ে থাকে বেহায়া অবুঝ ছেলের মত। প্রেম এক সদাপ্রসন্ন কিশোর। তাকে ফেলে বহুদূরে চলে এলেও কোন এক হঠাৎ খুশীর ভোরে সে নীলকন্ঠ পাখীর পালক ফেলে রেখে যায় শিয়রের কাছে। বৃষ্টিধোয়া সূর্যস্নাতা সেই সব ভোরে বড় সাধ হয় কৌটোর মধ্যে লুকিয়ে রাখা সেই পরশমনিটিকে আরেকবার ছুঁয়ে আদর করতে। তরুন সূর্যের আলো সেই মনিতে ঝিলিক দিয়ে সাতরঙা ছবি আঁকে। বুকের গভীরে পুষে রাখা মফস্বলের ছবি দেখবো ভেবে আসলে দেখি কে জানে কবে আমার আকাশলীনা গঙ্গায় এসে মিশেছে অ্যান আরবরের তারাভরা ভো্র, পশ্চিমঘাটের বেপরোয়া চিকন সবুজ বৃষ্টি, ব্লুমিংটনের বিষন্ন বিকেল, সেন্ট লুইসের গেরস্থালী সন্ধ্যা, পাওয়াই লেকের উদাত্ত রাত্রি। আমার প্রেমিক কিশোরের অভিমানী মুখ উপেক্ষার অপমানে মূহুর্তের জন্য নীল হয়। কিন্তু সে এক নাছোড়বান্দা রাখাল বালক। তার মোহনবাঁশীর সুর সে ছড়িয়ে দেয় সারা পৃথিবীর আকাশে বাতাসে চেতনায়। সমস্ত অনাগত দিনগুলিতে। তাকে ফেলে যাবো – আমার সাধ্য কি!